বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

সমসমাজ ডেস্ক
রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যেভাবে আটক করা হয়েছে, তা যথাযথ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তবে তিনি জানিয়েছেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। আজ রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আসিফ নজরুল জানান, “মডেল মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আটক করা হয়েছিল। এ নিয়ে সমাজে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করেছি এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও নাগরিক সমাজের উদ্বেগ সম্পর্কে অবহিত।”

তিনি আরও বলেন, “যদিও আটক প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি, তবে মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে, যা তদন্তাধীন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব দ্রুত এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার নিজ বাসা থেকে মডেল মেঘনা আলমকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আদালত তাঁকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

তাঁকে আটক করার প্রক্রিয়াটি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ থাকে, তবে নিয়মমাফিক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে কেন তাঁকে বিতর্কিত ‘প্রতিরোধমূলক আটক’ বা প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন-এর আওতায় নেওয়া হলো? এর পাশাপাশি, বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলেরও দাবি উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল বলেন, “গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি, সরকারও তা স্বীকার করছে। তবে এর মানে এই নয় যে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।” মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন সুনিদৃষ্ট অভিযোগ নেই। রাষ্ট্র কোন অভিযোগ না থাকার কারণে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিনা বিচারে আটক রেখেছে মেঘনা আলমকে। ভুল গ্রেফতার প্রক্রিয়া ও কোন সুনিদৃষ্ট অভিযোগ না থাকার কারণে মেঘনা আলমের মুক্তি একমাত্র ন্যায় বিচার।

সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অপরাধে জড়ালে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন বা প্রতিরোধমূলক আটক করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল শনিবার ডিএমপির ডিবির প্রধানের পদ থেকে রেজাউলকে সরিয়ে দেওয়া হলো।


একই ঘরনার সংবাদ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!