📍
সরকারি দপ্তরে তদবির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তদবির বন্ধের জন্য সচিবদের কাছে আধা সরকারিপত্র ((ডিও লেটার) দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার ২রা জানুয়ারী তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। আধা সরকারিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে , তথ্য উপদেষ্টার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন দপ্তরে সুপারিশ-সংবলিত আবেদন দাখিল করা হচ্ছে, যা ইতিমধ্যে উপদেষ্টার গোচরীভূত হয়েছে। কেউ উপদেষ্টার আত্মীয় পরিচয় বা নাম ব্যবহার করে কোনো কাজ উদ্ধারের চেষ্টা করলে তা বিবেচনা না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
তদবির বন্ধের আধা সরকারিপত্র জারি একটি আধা খেঁচড়া উদ্যোগ। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে তথ্য উপদেষ্টার স্বাক্ষর জাল হওয়ার মত গুরুতর অপরাধ গোচরীভূত হয়েছে। স্বাক্ষর জালের মত বিষয় নজরে আসার পরেও কেন কোন আইনি ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়নি বা এমন সংবাদ গণ মাধ্যমে আসেনি। এই বিষয়ে সরকার এবং তথ্য উপদেষ্টার উদাসীনতা খেঁচড়া উদ্যোগ।
📍
খালেদ মুহিউদ্দীনের সঙ্গে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর দীর্ঘ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ এর আলাপচারিতা – সাক্ষাৎকার স্বল্প সময়ের জন্য ইউটিউবে ছিল। হাসনাত আবদুল্লাহর সাক্ষাৎকার ভিডিও অজ্ঞাত কারনে নামিয়ে ফেলেছে খালিদ মহিউদ্দীন। এই সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সময় টেলিভিশনের ১০ সাংবাদিকের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করতে টেলিভিশনটির মালিকপক্ষ সিটি গ্রুপের এমডির সঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ এর কথোপকোথন সামনে আসে। হাসনাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সিটি গ্রুপ অফিসে দলবল নিয়ে গিয়ে ১০ জনের তালিকা দিয়ে আসে, যাদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। তার পরিবর্তে যাদের নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের তালিকাও দিয়ে আসেন। ” সময় টেলিভিশনের সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ উনি (হাসনাত আব্দুল্লাহ) এটা ব্যক্তিগতভাবে করেছে। এটা যদি অপরাধ হয়, আইনি মেকাবেলা করতে হবে তাকে। তবে তারা(চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা) শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে শক্তিশালী করেছে। তাদের ব্যাপারে মানুষ ক্ষুব্ধ। তবে এটা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হওয়া উচিত ছিল।” সাংবাদিকরা নিয়মবহির্ভূত ও অনাকাঙ্খিতভাবে চাকরি হারানোর ঝুঁকির মুখে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি’র পাঁচ সাংবাদিক চাকরি হারানোর পর সংবাদমাধ্যমে এ আশঙ্কা আরো বেড়ে চলছে।
এই সাক্ষাৎকারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নামি- দামি গাড়ি উপহার নেওয়ার কথা বেশ গর্ব ভরে দাবি করেছেন। ক্ষমতায় থেকে নামি- দামি গাড়ি উপহার হিসেবে নেওয়া সরাসরি তদবির বাণিজ্যের অংশ। যে বা যাহারা সমন্বয়করা নামি- দামি গাড়ি উপহার দিচ্ছেন বা দিয়ে থাকেন তারা স্বার্থের জন্যই দিয়ে থাকেন। এই জাতীয় ‘ উপহার ‘ তদবির বাণিজ্য।
📍—-
সহায়ক তথ্য :
১. নাম ব্যবহার করে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে তথ্য উপদেষ্টার আধা সরকারিপত্র। ০৩ জানুয়ারি ২০২৫। প্রথম আলো ।
২. সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ, হাসনাতের অস্বীকার। ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪। ডয়চে ভেলে।